ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর অপকারিতাও রয়েছে। ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। হয়তোবা আমরা অনেকেই জানিনা আমরা যে ভাত খাই তার পানিতে কতটুকু পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই না জানার কারণে আমরা
অনেকেই ভাতের মাড়কে ফেলে দেই। তো চলুন জেনে নিই এতে কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং
তার সাথে আরো জানবো এটিতে কি কি অপকারিতা রয়েছে কারণ পৃথিবীতে সব কিছুরই যেরকম
উপকারিতা রয়েছে সেরকম অপকারিতাও বিদ্যমান। ভাতের মার বলতে বোঝায় ভাত সেদ্ধ করার
পরে যে অবশিষ্ট পানি বেঁচে যায় তাই হল ভাতের মাড়।
পেজ সূচিপএঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
- ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম
- ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম
- ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়
- ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
- শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রথমে জেনে নেই চলুন তাহলে। ভাতের
মার হল ভাত রান্নার সময় যে পানিটা আলাদা হয়ে যায় সেটাই। তবে আমরা অনেক সময়
ভাতের মার ফেলে দিই কারণ আমরা অনেকেই এর উপকারিতা সম্পর্কে জানি না। প্রাচীনকাল
থেকে পুষ্টিকর পানিও হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভাতের মাড়কে। ভাতের মারে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট যা শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।
বিশেষভাবে এটি দুর্বল ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী, কারণ এটি সহজেই হজম হয়ে যায়
এবং তৎক্ষণাৎ শক্তি প্রদান করে। এছাড়া ভাতের মাড় চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই
উপকারী যা আমরা নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে এবং
উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভাতের মাড় ব্যবহার করা হয়। চুলের ক্ষেত্রে এটি প্রাকৃতিক
কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে এবং চুলকে মসৃণ উজ্জ্বল করে।
পেটের সমস্যা তে ভাতের মাড় কই কার্যকারী একটি উপাদান। পেটের সমস্যা যেমন
ডায়রিয়া পেট খারাপ হলে ভাতের মাড় অত্যন্ত উপকারী হিসেবে কাজ করে কারণ এটি
শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। ঠান্ডাও জ্বরের
সময়টি উষ্ণ পানিও হিসেবে খেলে খুবই আরামদায়ক ফিল হয় বা অনুভূতি দেয়।
তবে এর উপকারের পাশাপাশি অপকারও রয়েছে, এর রয়েছে কিছু নেতিবাচক প্রভাব। এতে
রয়েছে উচ্চ পরিমাণে শর্করা এটি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে
পারে। এছাড়া যারা ওজন কমাতে চান, তার জন্য এটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে কারণ
এটি দ্রুত ক্যালরি বৃদ্ধি করে। তবে সঠিকভাবে এবং সঠিক পরিমাণে ভাতের মাড় গ্রহণ
করলে ভাতের মাড় উপকারী হতে পারে।
তবে অতিরিক্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এটি হজমের সমস্যা এবং ওজন বৃদ্ধিতে
ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে। আশা করি ভাতের মাড় এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
অধিকাংশই ধারণা পেয়ে গেছেন চলুন এর আরো কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে নিচে
বিস্তারিত আলোচনায় দেখে আসি।
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা রয়েছে অনেক। গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় এক
ধরনের পুষ্টিকর পানিও হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি অনেক উপকারী, কারণ গর্ভাবস্থায়
মায়ের শরীরে শক্তি এবং পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায়। ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। যা মায়ের শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে সহায়ক। এতে
ক্লান্তি দূর হয় এবং শরীরের প্রয়োজনীয় ব্যানার্জি বজায় থাকে। এছাড়া
গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার পানি শূন্যতার সমস্যা দেখা দেয় যা ভাতের মাড়ের
মাধ্যমে সমস্যা দূর করা সম্ভব।
পানি শূন্যতার কারণে বমি বা সকালে অসুস্থতা এই সমস্যাগুলো আরো বাড়িয়ে তোলে।
হাতের মাড় শরীরে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং হাইড্রেশন বজায় রাখে। এর
পাশাপাশি এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। সহজপাচ্য হওয়ায় ভাতের মাড়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি এবং ম্যাগনেসিয়াম এর
মত খনিজ উপাদান থাকে,যা গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক।
এটি মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা শক্তিশালী থাকা জরুরি, কারণ মায়ের সংক্রমণ গর্ভস্থ শিশুর ওপর প্রভাব ফেলতে
পারে।এছাড়া ত্বকের যত্নেও ভাতের মাড় উপকারী। গর্ভাবস্থায় হরমোনজনিত কারণে ত্বকে
শুষ্কতা বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে এটি প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে।
তবে ভাতের মাড় সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত খেলে শরীরে শর্করার পরিমাণ
বেড়ে যেতে পারে, যা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই ভাতের মাড়
নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে গ্রহণ করলে
এটি গর্ভাবস্থায় মায়ের সুস্থতা এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা সর্ম্পকে এখন আমরা জানবো। ত্বকের যত্নে
ভাতের মাড় একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বকের আর্দ্রতা
ধরে রাখতে সাহায্য করে, যা ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। শুষ্ক বা রুক্ষ
ত্বকের জন্য এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে এবং ত্বককে আরামদায়ক
অনুভূতি দেয়।
ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা
বাড়াতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের মলিনতা দূর করে এবং একটি
স্বাস্থ্যকর জেল্লা আনতে পারে। ত্বকে যদি কালো দাগ বা অসমান টোন থাকে, তবে
ভাতের মাড় তা সমান করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে,
ফলে দাগ বা সানবার্ন হালকা হয়। ভাতের মাড়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান
বার্ধক্যের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে টানটান রাখে এবং বলিরেখা
প্রতিরোধে কার্যকর। বিশেষ করে রোদে পোড়া ত্বকে এটি একটি শীতলকারী প্রভাব
ফেলে, যা জ্বালাভাব কমায় এবং ত্বককে আরাম দেয়।
এছাড়া এটি ত্বক থেকে ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করে লোমকূপ পরিষ্কার রাখতে
সাহায্য করে। ফলে ব্রণ বা ব্ল্যাকহেডের সমস্যা কমে। ত্বকের প্রাকৃতিক
পরিচ্ছন্নতার জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।ভাতের মাড় ব্যবহারের জন্য
রান্নার সময় পানি আলাদা করে ঠাণ্ডা করে নিতে হয়। তারপর তুলোর সাহায্যে এটি
ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের
স্বাস্থ্যের জন্য একটি সহজ এবং প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।
ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম
ভাতের মাড় চুলে দেওয়ার নিয়ম গুলো কি কি চলুন পর্যায়ক্রমে জেনে নেই। ভাতের
মাড় চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে বেশ কার্যকর। এটি চুলের
স্বাস্থ্য উন্নত করতে, চুলকে মসৃণ ও ঝলমলে করতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে
সহায়ক। চুলে ভাতের মাড় ব্যবহারের সঠিক নিয়ম নিচে দেওয়া হলো চলুন জেনে নিই
নিয়ম গুলো কি কি?
ভাতের মাড় তৈরির পদ্ধতি
ভাত রান্নার সময় প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি পানি ব্যবহার করুন।
ভাত সেদ্ধ হলে অতিরিক্ত পানি আলাদা করে নিন।
মাড় ঠাণ্ডা হতে দিন। এটি সরাসরি বা আরও কার্যকর করতে চাইলে এতে অল্প লেবুর
রস, অ্যালোভেরা জেল, বা মধু মেশাতে পারেন।
চুলে ভাতের মাড় দেওয়ার নিয়ম
চুল পরিষ্কার করুন, ভাতের মাড় ব্যবহারের আগে চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে
নিন, যাতে চুল থেকে ধুলা, তেল ও ময়লা দূর হয়। মাড় প্রয়োগ করুন, ঠাণ্ডা ভাতের
মাড় চুলের গোড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগান। হাত দিয়ে
ম্যাসাজ করুন, যাতে এটি চুলের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে। মাড় চুলে রাখুন, মাড়
লাগানোর পর ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এটি চুলের গোড়া এবং শাখাগুলোতে পুষ্টি
জোগাবে। চুল ধুয়ে ফেলুন, নির্ধারিত সময় পর চুল ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। এরপর শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
নিয়মিত ব্যবহারের উপকারিতা
- চুল শক্তিশালী ও মসৃণ হয়।
- চুলের ভাঙন বা স্প্লিট এন্ড প্রতিরোধ করে।
- চুল ঝলমলে ও স্বাস্থ্যকর দেখায়।
- মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, ফলে খুশকির সমস্যা কমে।
- চুল পড়ার হার কমে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
সতর্কতা
- ভাতের মাড় খুব বেশি ঘন হলে পানির সঙ্গে মিশিয়ে পাতলা করে নিন।
- চুলে অতিরিক্ত তেল বা ময়লা থাকলে মাড় ব্যবহারের আগে তা পরিষ্কার করা জরুরি।
- সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করে নিন।
- সপ্তাহে ২-৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুলের স্বাস্থ্যে দ্রুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে।
ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম
ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম ও তৈরি করা সম্ভব আপনি জানবেন কি। খুব মজার বিষয় না
এটা,নাইট ক্রিম শত শত টাকা 💸 না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারবেন ভাতের মাড়
দিয়ে। ভাতের মাড় দিয়ে প্রাকৃতিক নাইট ক্রিম তৈরি করা সম্ভব, যা ত্বকের
আর্দ্রতা ধরে রাখে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
এটি সহজে ঘরে তৈরি করা যায় এবং রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় ত্বকের জন্য
নিরাপদ। ভাতের মাড় দিয়ে তৈরি নাইট ক্রিম ত্বকের যত্নে একটি প্রাকৃতিক এবং
কার্যকর সমাধান হতে পারে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, মসৃণতা বজায় রাখে এবং
ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। নিচে ভাতের মাড় দিয়ে নাইট ক্রিম তৈরির পদ্ধতি
দেওয়া হলো।
উপকরণ
- ভাতের মাড় (ঠাণ্ডা) - ২ টেবিল চামচ
- অ্যালোভেরা জেল - ১ টেবিল চামচ
- নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল - ১ চা চামচ নিন
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল (ঐচ্ছিক) - ১টি
তৈরির পদ্ধতি
- একটি পরিষ্কার পাত্রে ভাতের মাড় নিন।
- এর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল যোগ করুন এবং মিশ্রণটি ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন।
- এতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মেশান। এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল থাকলে এর তেল মিশ্রণে যোগ করুন। এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়ক।
- সব উপকরণ মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
সংরক্ষণ
এই ক্রিম একটি এয়ারটাইট কন্টেইনারে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এটি এক সপ্তাহ
পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
ব্যবহারের নিয়ম
- রাতে ঘুমানোর আগে ত্বক পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিন।
- অল্প পরিমাণ ক্রিম নিয়ে ত্বকে লাগান এবং হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।
- এটি সারা রাত ত্বকে রেখে দিন এবং সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
উপকারিতা
- ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং মসৃণতা বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল হয়।
- রোদে পোড়া দাগ, কালো দাগ বা ব্রণের দাগ হালকা করে।
- বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে ত্বক টানটান রাখে।
সতর্কতা
সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নিন। অতিরিক্ত
তেল বা অ্যালোভেরা জেল না মেশানোর চেষ্টা করুন, কারণ এটি ত্বকের ভারসাম্য
নষ্ট করতে পারে। ভাতের মাড় দিয়ে তৈরি এই নাইট ক্রিম ত্বকের যত্নে
প্রাকৃতিক সমাধান দিতে পারে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকে দ্রুত পরিবর্তন
দেখা যাবে।
ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়
ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়? হ্যা ভাতের মাড় খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে, তবে এটি
পুরোপুরি নির্ভর করে কীভাবে এবং কতটুকু এটি গ্রহণ করা হচ্ছে। ভাতের মাড়ে
কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেক বেশি, যা শরীরের শক্তির প্রয়োজন মেটায়।তবে
অতিরিক্ত মাড় খেলে শরীর সেই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটকে ফ্যাট হিসেবে জমা করতে
পারে,
যা ওজন বাড়ার কারণ হতে পারে। এটি মূলত অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের ফলাফল, যা
শরীরে চর্বি জমিয়ে দিতে পারে এবং ধীরে ধীরে মেদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সঠিক
পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি ক্ষতিকারক নয়, বরং উপকারী হতে পারে।
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
ভাতের মাড় খাওয়ার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে, যা আমাদের শরীরের উপর নেতিবাচক
প্রভাব ফেলতে পারে। ভাতের মাড়ে অনেক পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা শরীরে
দ্রুত শক্তির যোগান দেয়, কিন্তু অতিরিক্ত খেলে এটি আমাদের শরীরে জমে গিয়ে মেদ
বাড়ানোর কারণ হতে পারে। এছাড়া, ভাতের মাড়ে সহজপাচ্য শর্করা থাকার কারণে এটি
রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে, যা ডায়াবেটিস বা রক্তে চিনির
সমস্যা থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
অতিরিক্ত ভাতের মাড় খেলে পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস, অস্বস্তি বা বদহজম হতে
পারে, কারণ এতে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে শুধু ভাতের মাড় খেলে
শরীরের অন্যান্য পুষ্টির চাহিদা পূরণে সমস্যা হতে পারে, কারণ এতে প্রোটিন,
ভিটামিন বা মিনারেলসের পরিমাণ কম থাকে। আরেকটি ক্ষতিকর দিক হলো, ভাতের মাড়ে
সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে, তা কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত
কিডনি সমস্যা থাকলে।
অতএব, ভাতের মাড় খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং অন্যান্য পুষ্টিকর
খাবারের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে এটি খাওয়া উচিত।
শেষ কথাঃ ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভাতের মাড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। তবে, এই পোস্টে আরও বলা হয়েছে কিভাবে সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক সময়ে এটি
গ্রহণ করলে এটি আপনার জন্য হতে পারে উপকারী। যখন ভাতের মাড় সঠিক পরিমাণে এবং
খাদ্যতালিকার সঙ্গে সুষমভাবে খাওয়া হয়, তখন তা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে।
তবে, অতিরিক্ত বা ভুল সময়ে খেলে এটি ক্ষতিকরও হতে পারে, যা শরীরে নানা ধরনের
সমস্যা তৈরি করতে পারে।
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে এবং উপকারিতা বা অপকারিতার পর্যায় সম্বন্ধে আরো
জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে
অনেক ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url