পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা দরকার। কারন আমাদের কম বেশি সবারই শীতে অথবা গরমে পা ফাটে। যেটা দিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তিত। কিন্তু কিভাবে এই সমস্যার সমাধান করব তা খুঁজে পাই না। তবে কোন সমস্যা নেই আজকে আমি আপনাদের বলব কিভাবে ঘরে বসে পা ফাটা সমস্যার মুক্তি পাওয়া যাবে।
আজকে আমি
আপনাদের পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। আজকের আর্টিকাল
পা ফাটার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে তো না যদি পা ফাটার সমস্যা থাকে তাহলে
অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আজকের আর্টিকেলটি পড়বেন এবং প্রত্যেক জীবনে তা প্রয়োগ
করবেন দেখবেন খুব সহজেই আপনার বাবাটা সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে। তো চলুন জেনে আসি
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।
পেজ সূচিপএঃ পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকরী পদ্ধতি
হলো নারকেল তেল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে পায়ে লাগানোর পদ্ধতি। আপনি রাতে পা পরিষ্কার
করে মিশ্রণটি লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমালে ভালো ফল পাবেন এটি খুবই কার্যকারী। এছাড়া
আপনি মধু ও দুধ মিশিয়ে কুসুম কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রেখে হালকা স্ক্রাব
করা যেতে পারে যা আপনি করে দেখতে পারেন এটাতেও অনেক সুফল রয়েছে। আবার আপনি
ভ্যাসলিনের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন যা পায়ের ফাটা অংশে
লাগানো খুবই উপকারী।
এটি পায়ের ত্বক নরম করতে সাহায্য করে। তাজা এলোভেরা জেল পায়ে মেখে ঘুমানোর আগে
ব্যবহার করলে তোকে আদ্রতা বজায় থাকে এবং ত্বক দ্রুত সুস্থ হয়। আপনি পাকা গলার
পেস্ট করে পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে 20 মিনিট রেখে দিলে খুবই উপকার পাবেন এতে তখম
ছিল নরম হয়। সর্বশেষ প্রতিদিন পা পরিষ্কার রাখা যা পা ফাটা রোদে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ কারণ পাওয়া পরিষ্কার হওয়ার কারণে পা ফাটে। পা মশ্চারাইজ করা,
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস পায়ের ত্বক ভালো রাখার
জন্য অত্যন্ত জরুরী।
গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়
গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় । গরমে পা ফাটার সমস্যা আমাদের অনেকেরই হয়ে থাকে
শুধু শীতে নয় অনেকের গরমেও পা ফাটে যা খুবই বড় একটি সমস্যা। এটি থেকে মুক্তি
পেতে আমরা কিছু নিয়ম ফলো করতে পারি যেগুলো ফলো করার মাধ্যমে গরমে পা ফাটা দূর
করা সম্ভব। গরমে পা ফাটা দূর করার জন্য প্রথম ধাপটি হলো পা পরিষ্কার রাখা যা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। গরমের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে পা ফাটা সম্ভব না বেশি থাকে।
প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে হালকা গরম পানিতে পা ভিজে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করুন
এতে আপনার পা কাটা সম্ভব না কমে যাবে।
টক আদ্র রাখুন, করবে পা শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন ভালো
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা গ্লিসারিন এর মত
প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। পা ফাটা রোদে আপনি পা স্ক্রাব করতে
পারেন, পায়ের মৃত কোষ দূর করতে সপ্তাহে দুইবার পা স্ক্রাব করা প্রয়োজন। চালের
গুড়া, মধু ও দুধ মিশিয়ে ঘরে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
পা ফাটা রোদে তো ঠান্ডা রাখা খুব জরুরী। হয়তো ঠান্ডা রাখতে পারিতে এলোভেরা জেল
মিশিয়ে পা ধুয়ে নিন। এটি শীতলতা এবং পায়ের শুষ্কতা কমায়। গরমের সময় বেশি
বেশি পানি পান করুন এবং পুস্তিকা খাবার খান। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার তোকে শুষ্কতা
দূর করতে সাহায্য করে। পা ফাটা রোদে উপযুক্ত জুতা ব্যবহার করতে হবে। গরমে
আরামদায়ক ও খোলা জুতা পরুণ, যাতে পা ভেবে না যায়। ঘামের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে
পা ফাটতে পারে। উপরে দেওয়া নিয়মগুলি মেনে চললে গরমে পা ফাটা সমস্যা সহজে দূর
করা সম্ভব।
পা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়
পা ফাটা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত যত্ন এবং ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করলে ভালো ফল
পাওয়া যায়। নিচে পা ফাটা প্রতিরোধ ও নিরাময়ের কিছু উপায় দেওয়া হলো।পা ফাটার
কারণ দূর করুন,শুষ্ক ত্বক, পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজারের অভাব, এবং পায়ের প্রতি
অবহেলা পা ফাটার প্রধান কারণ। তাই নিয়মিত পায়ের যত্ন নেওয়া জরুরি।খালি পায়ে
হাঁটা এড়িয়ে চলুন এবং আরামদায়ক জুতা পরুন।
পায়ের যত্নের রুটিন তৈরি করুন।পা পরিষ্কার করুন,প্রতিদিন পা পরিষ্কার করতে
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর একটি নরম ব্রাশ
দিয়ে পা ঘষে ময়লা এবং মৃত কোষ দূর করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন,পা ধোয়ার
পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা গ্লিসারিন বিশেষ
কার্যকর। রাতে পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে মোজা পরে ঘুমালে ত্বক নরম থাকবে।
প্রাকৃতিক প্যাক ব্যবহার করুন,মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মধু ব্যবহার
করতে পারেন। হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন।কলা পেস্ট একটি পাকা
কলা পেস্ট করে পায়ে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।অ্যালোভেরা তাজা
অ্যালোভেরা জেল পায়ে লাগিয়ে রাখুন। এটি শীতলতা এবং আর্দ্রতা প্রদান
করে।পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুনভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান।
ত্বকের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত পরামর্শ
পা ফাটা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা ত্বকের সমস্যা বেড়ে গেলে একজন ডার্মাটোলজিস্টের
পরামর্শ নিন।পায়ের ত্বক যাতে বেশি শুকিয়ে না যায়, সেজন্য গরম পানি এড়িয়ে চলুন এবং ত্বক
আর্দ্র রাখতে যত্ন নিন।নিয়মিত এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে পা ফাটা থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব।
পা ফাটা দূর করার ঔষধ
পা ফাটা দূর করার ঔষধ রয়েছে অনেক।পা ফাটা দূর করতে বিশেষ কিছু ঔষধ বা ক্রিম
ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে Urea সমৃদ্ধ ক্রিম পায়ের শুষ্ক ত্বক নরম করতে
এবং ফাটার সমস্যা কমাতে কার্যকর। একইভাবে Salicylic Acid সমৃদ্ধ ক্রিম মৃত কোষ
দূর করতে সাহায্য করে। Crack Heel Cream বা ফুট কেয়ার ক্রিমও পা ফাটার জন্য বেশ
উপকারী। এসব ক্রিম পা ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকানোর পর ব্যবহার করতে হয়।যদি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে, তাহলে Soframycin বা Betnovate-N মলম ব্যবহার করা যেতে
পারে, যা সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভ্যাসলিন বা অ্যালোভেরা জেলের মতো
প্রাকৃতিক নির্যাস সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট পায়ের ত্বক আর্দ্র রাখতে এবং ক্ষত সারাতে
ভালো কাজ করে। দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম স্কয়ার
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পা ফাটা দূর করার জন্য বিশেষ কোনো ক্রিম
সরাসরি বাজারে পাওয়া যায় না। তবে স্কয়ার বিভিন্ন ধরণের ত্বকের যত্নের জন্য
কার্যকর প্রোডাক্ট তৈরি করে থাকে। পা ফাটার সমস্যা কমানোর জন্য আপনি স্কয়ারের
নিম্নলিখিত পণ্যগুলো চেষ্টা করতে পারেন:
সার্স (Sars)
এটি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম, যা ক্ষত বা
ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক। পা ফাটার ফলে সংক্রমণ দেখা দিলে এটি ব্যবহার
করা যেতে পারে।
Skin Care Moisturizers
স্কয়ারের কোনো ময়েশ্চারাইজার বা স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট থাকলে সেটি শুষ্ক ত্বক
আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
নরম মলম বা লোশন
স্কয়ার তাদের লোশন বা মলম লাইনআপে এমন কিছু পণ্য সরবরাহ করতে পারে যা পায়ের
শুষ্কতা কমাতে এবং পা ফাটার উপশমে কার্যকর।
স্কয়ার ফার্মার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার আগে ফার্মেসি বা স্কয়ার
ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রতিনিধি থেকে সুনির্দিষ্ট পণ্যের নাম এবং কার্যকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। যদি এগুলো থেকে সরাসরি সমাধান না পান, তবে অন্য
কোম্পানির Crack Heel Cream ব্যবহার করতে পারেন।
পা ফাটা দূর করার ক্রিম বাংলাদেশ দাম
বাংলাদেশে পা ফাটা দূর করার জন্য বিভিন্ন ক্রিম পাওয়া যায়, যেগুলোর দাম সাধারণত
৭৫ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে থাকে। নিচে কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের তালিকা ও তাদের
দাম উল্লেখ করা হলো: Scholl Krack Heel Repair Cream (ইন্ডিয়ান) - ২৫ গ্রাম,এই
ক্রিমটি পায়ের ফাটা গোড়ালি মেরামতে সহায়ক। দাম প্রায় ২৪৫ টাকা।হিল গার্ড ২৫%
ডব্লিউ/ডব্লিউ ক্রিম - ৩০ গ্রাম,ইউরিয়া সমৃদ্ধ এই ক্রিমটি শুষ্ক ও ফাটা পায়ের
ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়। দাম প্রায় ১৫০ টাকা। রেমি পা ফাটা - ২০ মিলি,এই ক্রিমটি
পা ফাটার সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়। দাম প্রায় ৭৫ টাকা।ইমোলেন্ট ক্রিম
৬%+১৫%,শুষ্ক ত্বক ও পা ফাটার জন্য ব্যবহৃত এই ক্রিমের দাম সম্পর্কে সঠিক তথ্য
পাওয়া যায়নি।দ্রষ্টব্য, দাম সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে এবং ভিন্ন ভিন্ন দোকানে ভিন্ন হতে
পারে। তাই ক্রয় করার আগে নির্দিষ্ট দোকানে দাম যাচাই করে নিন।
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে
পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে আপনি জানেনে কি? পা ফাটার অন্যতম কারণ হলো ত্বকের
শুষ্কতা, যা সাধারণত ভিটামিনের ঘাটতির কারণে হতে পারে। বিশেষ করে ভিটামিন-ই,
ভিটামিন-সি, এবং ভিটামিন-এ-এর অভাব পায়ের ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ করে
তোলে।ভিটামিন-ই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে নরম ও মসৃণ
রাখে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে। ভিটামিন-সি কোলাজেন উৎপাদনে
সাহায্য করে, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখে।
এর অভাবে ত্বক দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভিটামিন-এ ত্বকের পুনর্জন্মে
ভূমিকা রাখে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক এবং পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যা দেখা
দেয়।এছাড়া, পা ফাটার ক্ষেত্রে জিঙ্ক এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবও ভূমিকা
রাখতে পারে, কারণ এগুলো ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করে। এই সমস্যা সমাধানে যথাযথ
পুষ্টিকর খাবার যেমন বাদাম, শাকসবজি, গাজর, টকজাতীয় ফল, মাছ এবং দুধজাতীয় খাবার
খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সারাবছর পা ফাটা
সারাবছর পা ফাটা একটি সাধারণ সমস্যা, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ত্বকের শুষ্কতা এবং
অপর্যাপ্ত যত্নের কারণে হয়ে থাকে। কিছু মানুষের জন্য এটি মৌসুমী সমস্যা হলেও,
কারও কারও ক্ষেত্রে এটি স্থায়ী রূপ নিতে পারে। এর প্রধান কারণগুলো হলো শুষ্ক
ত্বক, খালি পায়ে হাঁটা, ময়েশ্চারাইজারের অভাব, পুষ্টির ঘাটতি এবং কখনও কখনও
কোনো ত্বকের রোগ।
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত গরমে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, যা পা ফাটার সমস্যা বাড়ায়। আবার
শীতকালে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আর্দ্রতার অভাবে পা ফাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যদি
পায়ের নিয়মিত যত্ন নেওয়া না হয়, তাহলে ফাটা জায়গা আরও গভীর হয়ে যেতে পারে,
এমনকি রক্তপাত বা সংক্রমণও ঘটতে পারে।এ সমস্যা সারাবছর এড়াতে পায়ের প্রতি বিশেষ
যত্ন নেওয়া জরুরি।
নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখা, ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা, এবং পুষ্টিকর
খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব। এছাড়া ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি,
এবং ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ত্বক মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। যদি পা ফাটার
সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শেষ কথাঃ পা ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
পা ফাটা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো বেশ কার্যকর এবং নিরাপদ। প্রাকৃতিক
উপাদান দিয়ে নিয়মিত যত্ন নিলে পায়ের শুষ্কতা ও ফাটা সমস্যার সমাধান সম্ভব। পা
ফাটা দূর করতে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ
করে। এটি পায়ে লাগিয়ে রাতে মোজা পরে ঘুমালে ত্বক নরম হয়।
অ্যালোভেরা জেল পায়ের ত্বক আর্দ্র রাখে এবং দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।
এছাড়া মধু ও দুধ মিশিয়ে পা ভিজিয়ে রাখা ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সহায়তা করে।
পাকা কলার পেস্ট পায়ের ফাটা অংশে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক মসৃণ
হয়। এই উপায়গুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে পা ফাটা সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। তবে
যদি সমস্যা গুরুতর হয় বা ত্বকে ব্যথা ও সংক্রমণ দেখা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url