বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এ বিষয়টি জানার জন্য আপনারা অনেক আগ্রহী। বিভিন্ন আইটি সেন্টারে গিয়ে উপস্থিত হন এই বিষয়টি জানার জন্য। এটি জানার মাধ্যমে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত কাজ সম্পর্কে ধারণা
নিতে পারেন। যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটের সেক্টরগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানা যায়
তাহলে খুবই সহজেই নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে মার্কেট প্রাইস থেকে হাজার
হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। চলুন আজকে আমরা এই একটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
পেজ সূচিপএঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা সম্পর্কে আজকে
আমরা জানবো। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়ায় অনেক সেক্টর জনপ্রিয় ও
ডিমান্ডেবল রয়েছে। তবে কিছু সেক্টর বিশেষভাবে চাহিদা অর্জন করেছে এবং পপুলারিটি
পেয়েছে। যে গুলো শিখে রাখলে আমাদের অনে কাজে আসবে এবং ভবিৎ কেরিয়ার গজতে ভূমিকা রাখবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এন্ড ডিজাইন
- গ্রাফিক ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- কন্টেন্ট রাইটিং এন্ড কপি রাইটিং
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
- সাইবার সিকিউরিটি এন্ড আইটি সাপোর্ট
- ই-লার্নিং এবং কোর্স ক্রিয়েশন
1.চলুন এবার এগুলো ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে আসি। ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজাইন এটি বর্তমানে সারা বিশ্বে খুবই চাহিদা পূর্ণ কারণ
ওয়েবসাইট তৈরির চাহিদা ক্রমগত বাড়ছে, বিশেষ করে ই কমার্স সাইটগুলো তৈরির চাহিদা
অনেক বেড়ে গেছে কারণ বর্তমানে ব্যবসা অনলাইনে বেশি ভালো হয়। ব্লগিং সাইটের
জন্যও এটি অনেক চাহিদা সম্পন্ন কাজ।
2.গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড ভিডিও এডিটিং এটিও বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় কারণ বর্তমান দুনিয়ায় গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং ছাড়া যেন কোন কিছুই সম্ভব না। এটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্র্যান্ডিং এর ব্যানার তৈরিতে অনেক কাজ করে তাই এর চাহিদা অনেক কারণ বর্তমানে ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যানার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মার্কেটিং এর। এবং ভিডিও কনটেন্ট ক্রিকেটারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে তাই এটি বর্তমানে খুবই ডিমান্ডেবল একটি কাজ। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন কারণ এটির অনেক চাহিদা রয়েছে বর্তমানে।
2.গ্রাফিক্স ডিজাইন এন্ড ভিডিও এডিটিং এটিও বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় কারণ বর্তমান দুনিয়ায় গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং ছাড়া যেন কোন কিছুই সম্ভব না। এটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ব্র্যান্ডিং এর ব্যানার তৈরিতে অনেক কাজ করে তাই এর চাহিদা অনেক কারণ বর্তমানে ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যানার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মার্কেটিং এর। এবং ভিডিও কনটেন্ট ক্রিকেটারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে তাই এটি বর্তমানে খুবই ডিমান্ডেবল একটি কাজ। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন কারণ এটির অনেক চাহিদা রয়েছে বর্তমানে।
3.ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি এবং এর সাথে পরিচিত কারণ
বর্তমান তরুণদের মুখে মুখে ডিজিটাল মার্কেটিং নামটি শোনা যায় কারণ বর্তমান
বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই ডিমান্ডেবল একটি কাজ এই কাজটি শিখতে পারলে অনেক
লাভ রয়েছে কারণ বর্তমানে ব্র্যান্ড প্রমোশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং
কনটেন্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব বাড়ছে, তাই বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই
লাভজনক একটি কাজ যে ব্যক্তি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবে সে ব্যক্তি কিন্তু তার
ওয়েবসাইট প্রমোট করার জন্য আপনার কাছে আসবে তাই ওয়েবসাইট তৈরির মতোই এটারও
জনপ্রিয় ব্যাপক কারণ শুধু ওয়েবসাইট তৈরি করলেই হবে না তাকে প্রমোট করাও
প্রয়োজন তাই আমি মনে করি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে থাকলে আপনি অনেক ভালো ইনকাম
শুরু করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে 2025
4.কন্টেন্ট রাইটিং এন্ড কব রাইটিং এটি আমার মতে খুবই লাভজনক প্রজেক্ট কারণ আপনি
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট রাইটিং করে ভালো আর্নিং করতে
পারবেন গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে। অথবা আপনি কন্টেন্ট রাইটিং শিখে বিভিন্ন ব্যক্তির
ওয়েব সাইটে গেস্ট ব্লগিং করেও ইনকাম করতে পারবেন। কারণ বর্তমানে ব্লগ, আর্টিকেল,
ইমেইল ক্যাম্পেইন, এন্ড এড কন্টেন্ট তৈরিতে মানুষ অনেক ঝুকছে কারণ এখানে প্রচুর
পরিমাণে ইনকাম হওয়া সম্ভব। চাহিদা রয়েছে বেশি অপটিমাইজড আর্টিকেল, প্রোডাক্ট
ডেসক্রিপশন, স্ক্রিপ্ট রাইটিং এসব কাজে এগুলো করে খুব সহজেই ভালো পরিমাণ ইনকাম
সম্ভব।
5.ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এটি অনেক জনপ্রিয় কারণ বিভিন্ন কোম্পানির কাজে
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রয়োজন হয়। ডেটা এন্ট্রি, ইমেল ম্যানেজমেন্ট,
এবং কাস্টমার সার্ভিসের জন্য ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
তাই এগুলো কাজ শিখেও আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর দায়িত্ব পালন করে ইনকাম
করতে পারেন। এই কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন হবে time management, communication,
CRM software এর স্কিল গুলো।
6.অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার
কারণ। বর্তমানে মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাই এফ
ডেভেলপমেন্টের চাহিদা ও তিনদিন বেড়েই চলেছে। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট শিখার মাধ্যমে
ফেরার জন্য জগতের একজন ভালো এবং দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণ
আয় করা সম্ভব আপনার জন্য।
7.সাইবার সিকিউরিটি এবং আইটি সাপোর্ট যা বর্তমানে খুবই জরুরী একটি বিষয় ছোট থেকে
বড় ব্যবসার জন্য সাইবার সিকিউরিটি প্রয়োজন রয়েছে অনেক। বর্তমানে ছোট ব্যবসা
থেকে বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট রাখা খুবই প্রয়োজন
কারণ বর্তমানে সব ব্যবসিক রাই অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে এবং এখানে সাইবার
সিকিউরিটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনি সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে স্কিল অর্জন
করতে পারলে তার জন্য খুব সফল আর্নিং পয়েন্ট হতে পারে এটি।
8.ই-লার্নিং এন্ড কোর্স ক্রিয়েশন বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় কারণ বর্তমান স্টুডেন্ট
অনলাইনে শিখতে বেশি আগ্রহী। অনলাইনে শেখার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে সাথে
সাথে কোর্স তৈরির কাজও বাড়ছে আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয়ে ইলার্নিং এবং
কোর্স ক্রিয়েশনের কাজ করে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত? বর্তমানে, বাংলাদেশ
বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ফ্রিল্যান্সিং দেশগুলির মধ্যে রয়েছে, যা বিশ্বের মোট
ফ্রিল্যান্সারদের প্রায় 14% । এই সেক্টরের প্রবৃদ্ধি দেশটির প্রযুক্তি-বুদ্ধিমান
যুবকদের একটি বড় পুল দ্বারা চালিত হয়, যাদের মধ্যে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে একটি
কার্যকর কর্মজীবনের পথ হিসেবে গ্রহণ করেছে। শিল্প প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশী
ফ্রিল্যান্সাররা সম্মিলিতভাবে বছরে প্রায় $1.9 বিলিয়ন আয় করে, যা দেশের
অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
এই চিত্তাকর্ষক পরিসংখ্যান সত্ত্বেও, চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গেছে। ফ্রিল্যান্সিং
আয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বৈশ্বিক র্যাঙ্কিং এখনও বেশ কয়েকটি প্রতিযোগীর
পিছনে রয়েছে, বর্তমানে এটি শীর্ষ 30টি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। যাইহোক,
দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে ফ্রিল্যান্সিংকে স্বীকৃতি দিয়ে এই
অবস্থানকে উন্নত করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের উদ্যোগ প্রয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি?
ফ্রিল্যান্সিং-এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি তা সকল
নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জানার আগ্রহ থাকে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
আয়ের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে যেগুলো দিয়ে খুব
সহজেয় আমরা টাকা পেতে পারি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মাধ্যমগুলো হলো:
পেওনিয়ার (Payoneer):কারণ জনপ্রিয়: পেওনিয়ার বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্ম (যেমন: Upwork, Fiverr) থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা তোলা
যায়।
সুবিধা
- সহজে ব্যাংক ট্রান্সফার।
- মাস্টারকার্ড ব্যবহার করে এটিএম থেকে টাকা তোলা যায়।
- কমিশন: ব্যাংক ট্রান্সফারের জন্য সামান্য ফি কাটে।
বিকাশ (bKash):কারণ জনপ্রিয়: পেওনিয়ার বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে আনা
টাকা সহজেই বিকাশ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা যায়।
সুবিধা
- লোকাল ট্রান্সফার দ্রুত হয়।
- নগদ টাকা তোলা সহজ।
স্ক্রিল (Skrill):কারণ জনপ্রিয়: স্ক্রিল অনেক ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্ম এবং আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি কাজ করতে সুবিধা দেয়।
সুবিধা
- সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা তোলা যায়।
- ট্রান্সফার ফি তুলনামূলকভাবে কম।
ব্যাংক ট্রান্সফার (Wire Transfer):কারণ জনপ্রিয়: বড় অঙ্কের টাকা
লেনদেনের জন্য ব্যাংক ট্রান্সফার একটি নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
সুবিধা
- বড় পরিমাণের টাকা সরাসরি স্থানান্তর।
- নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ।
নগদ (Nagad):কারণ জনপ্রিয়: বিকাশের মতো নগদও একটি সহজ এবং দ্রুত অর্থ
লেনদেনের মাধ্যম।
সুবিধা
- লোকাল ট্রান্সফারে সুবিধাজনক।
- ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম থেকে স্থানান্তরিত অর্থ তোলা যায়।
পেপাল (PayPal):বর্তমান অবস্থা: বাংলাদেশে এখনও পেপাল সরাসরি ব্যবহারের
সুযোগ নেই। তবে পেপাল বিকল্প (Payoneer-এর মাধ্যমে) ব্যবহার করা যায়।যদি পেপাল
বাংলাদেশে আসে, তবে এটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
বাংলাদেশে পেওনিয়ার এবং স্ক্রিল আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সবচেয়ে বেশি
ব্যবহৃত হয়, আর বিকাশ এবং নগদ লোকাল অর্থ ব্যবস্থাপনার জন্য জনপ্রিয়। আপনি
আপনার প্রয়োজন ও লেনদেনের পরিমাণ অনুযায়ী মাধ্যম বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে
ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা সর্ম্পকে আরো জানতে
আমাদের সংগেই থাকুন।
ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি
ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বব্যাপী কাজের ধরন পরিবর্তন করছে এবং এটি একটি দ্রুত
বর্ধমান ক্ষেত্র। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং
শুধু আয়ের উৎস নয়, বরং বৈশ্বিক বাজারে দক্ষতাকে প্রতিষ্ঠিত করার একটি
সুযোগ। ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং আরও শক্তিশালী এবং বহুমুখী হবে বলে ধারণা করা
হচ্ছে।
ভবিষ্যতের ফ্রিল্যান্সিং-এর সম্ভাবনা
ক. প্রযুক্তির অগ্রগতি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং (ML), ডেটা অ্যানালিটিক্স, এবং
ব্লকচেইন-এর মতো প্রযুক্তি ফ্রিল্যান্সিং-এর নতুন ক্ষেত্র খুলে
দিচ্ছে।সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং ভিডিও কনটেন্ট
তৈরির মতো কাজের চাহিদা আরও বাড়বে।
খ. দূরবর্তী কাজের সংস্কৃতি বৃদ্ধি
COVID-19-এর প্রভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী দূরবর্তী কাজের চাহিদা বেড়েছে।
এটি ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যৎকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।কোম্পানিগুলো
ফ্রিল্যান্সারদের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে কারণ এটি খরচ কমায় এবং দক্ষতাকে
বৈশ্বিক করে।
গ. অনলাইন মার্কেটপ্লেসের বিস্তার
Fiverr, Upwork, Toptal-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো আরও উন্নত ও ব্যবহারবান্ধব
হচ্ছে।ভবিষ্যতে আরো বিশেষায়িত এবং কাস্টমাইজড প্ল্যাটফর্ম তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশের জন্য ফ্রিল্যান্সিং-এর ভবিষ্যৎ
ক. দক্ষ কর্মশক্তি
বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এবং প্রযুক্তি-সচেতন তরুণরা এই খাতে বড় ভূমিকা
রাখতে পারে।নতুন নতুন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু হলে বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সাররা আরও বেশি বৈশ্বিক কাজ পেতে সক্ষম হবে।
খ. সরকারের সহায়তা
বাংলাদেশ সরকার \u201cডিজিটাল বাংলাদেশ\u201d উদ্যোগের মাধ্যমে আইটি এবং
ফ্রিল্যান্সিং খাতে উন্নয়ন ঘটাচ্ছে।২০২৫ সালের মধ্যে আইটি রপ্তানি ৫ বিলিয়ন
ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।প্রযুক্তিগত শিক্ষায় বিনিয়োগ
এবং দেশব্যাপী ইন্টারনেট সহজলভ্য করা হচ্ছে।
গ. নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা
যদি পেপাল বাংলাদেশে চালু হয়, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আরও গতিশীল হবে।উন্নত
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে হবে।ভারত, ফিলিপাইন, এবং
পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার জন্য মানসম্মত কাজ এবং
সময়ানুবর্তিতা বাড়ানো জরুরি।
চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা
চ্যালেঞ্জ
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পেশাদার মান বজায় রাখা জরুরি।দ্রুত
ইন্টারনেট এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় টুলস নিশ্চিত করা। ক্লায়েন্টের চাহিদা
এবং ডেলিভারি সময় মেলানো।
সম্ভাবনা
তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি বড় কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে।ফ্রিল্যান্সিং
বাংলাদেশকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সাহায্য করছে।ফ্রিল্যান্সিং অনেকের জন্য
স্বাবলম্বী হওয়ার পথ খুলে দিচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং শুধু একটি চাকরি নয়, এটি ভবিষ্যতের কাজের ধরণ। প্রযুক্তি ও
উদ্ভাবনের সাথে তাল মিলিয়ে চললে বাংলাদেশ এই খাতে একটি বড় শক্তি হয়ে উঠতে
পারে। নতুন দক্ষতা অর্জন, সঠিক দিকনির্দেশনা, এবং সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ
প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন
আনতে সক্ষম হবে।ফ্রিল্যান্সিং আমাদের তরুণদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনার
দিগন্ত উন্মোচন করছে। এটি শুধুমাত্র একটি পেশা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি
প্রতিশ্রুতি।
শেষ কথাঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশীর জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি ক্যারিয়ার পছন্দের চেয়েও বেশি
কিছু; এটি অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং বিশ্বব্যাপী একীকরণের একটি পথের প্রতিনিধিত্ব
করে। তার মেধাবী কর্মীবাহিনী, সক্রিয় সরকারী নীতি এবং আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে
ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতি সহ, বাংলাদেশ একটি ফ্রিল্যান্সিং পাওয়ার হাউসে পরিণত
হওয়ার জন্য ভাল অবস্থানে রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং দক্ষতা উন্নয়নে
বিনিয়োগের মাধ্যমে জাতি এই সমৃদ্ধিশীল খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে।
আসা করি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা সর্ম্পকে
জানতে পেরে সেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url